বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ১২:৫৬ অপরাহ্ন
দৈনিকবিডিনিউজ৩৬০ ডেস্ক : কুরআন মুসলমানদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ। ইসলামী ইতিহাস অনুসারে দীর্ঘ তেইশ বছর ধরে খণ্ড খণ্ড অংশে হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর নিকট অবতীর্ণ হয় পবিত্র কুরআন। একজন মুসলমান হিসেবে অবশ্যই আমাদের কুরআন পড়া উচিৎ।
পৃথিবীতে যত ধর্মের ধর্মগ্রন্থ আছে, সেসব ধর্মের সব অনুসারীর জন্য ধর্মগ্রন্থ পড়া জরুরি নয়। কোনো কোনো ধর্ম তো সাধারণ অনুসারীদের জন্য ধর্মগ্রন্থ পড়া এবং স্পর্শ করাও নিষিদ্ধ। সেসব ধর্মে ধর্মগ্রন্থ চর্চার অধিকার কেবল বিশেষ শ্রেণীর পুরোহিতদের জন্য সংরক্ষিত।
ইসলামের অবস্থান এর সম্পূর্ণ ভিন্ন। ইসলাম প্রচলিত অর্থে কোনো ধর্ম নয় বরং ইসলাম মানুষের জন্য পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা এবং আল্লাহ প্রদত্ত জীবনব্যবস্থা। এ জীবনব্যবস্থার মূল উৎস হলো- কোরআনে কারিম। ইসলামে সর্বোচ্চ নেতৃবৃন্দ থেকে নিয়ে একজন সাধারণ মুসলিম পর্যন্ত সবার জন্য ইসলামের বিধান সমানভাবে প্রযোজ্য এবং সমানভাবে অনুসরণীয়। সে জন্য ইসলাম তার মূল উৎস কোরআনকে বিশেষ এবং নির্বিশেষে সব মুসলিমের জন্য অবশ্য পাঠ্য করে দিয়েছে। এটি অমুসলিমদেরও পাঠ্য।
বিশ্বে খ্রিস্টানদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। কোরআনের চেয়ে তাদের বাইবেলের অনুবাদ সংখ্যাও অত্যধিক। খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারের জন্য তারা কোটি কোটি টাকা ব্যয় করছে এবং সর্বাধুনিক পদ্ধতিতে ধর্ম প্রচার করছে। সে হিসেবে ধর্ম প্রচারের ক্ষেত্রে মুসলমানদের চেষ্টা নেহায়েতই কম। এর পরও কোরআনের পাঠক বিশ্বে অনেক বেশি।
পৃথিবীতে অন্য কোনো গ্রন্থের হাফেজ নেই। কিন্তু কোরআন এখনও বহু লোক মুখস্থ করেন। বর্তমান বিশ্বে লাখ লাখ কোরআনের হাফেজ রয়েছেন। কোরআনের হাফেজদের মুখে মুখে বিশ্বময় প্রতি মুহূর্তে পঠিত হচ্ছে কোরআন। বিশ্বে এত বিপুল পাঠক-পাঠিকা আর কোনো গ্রন্থে নেই। প্রতিটি মুহূর্তে বিশ্বের পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্রই পঠিত হচ্ছে- কোরআন মজিদ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন শরীফ পড়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এসএস